মোঃ ইকরামুল হক,
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, বরুড়াঃ বরুড়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস উদযাপন হয়েছে গতকাল বুধবার। মাতৃভাষা আন্দোলনের ৭২ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম প্রহরে বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নির্বাহী কর্মকর্তা নু এমং মারমা মংয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বরুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে একুশের প্রথম প্রহর ১২:০১ মিনিটে প্রথমে কুমিল্লা দঃ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কুমিল্লা ০৮( বরুড়া)'র সাংসদ আবু জাফর মোহাম্মদ শফিউদ্দিন শামীম ও এরপর বরুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ এন এম মইনুল ইসলাম বরুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, এছাড়াও তাদের উভয়ের পক্ষ থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় একটি একুশে ফেব্রুয়ারি সকল ভাষা শহীদদের সম্মানে একটি শোক মিছিল বরুড়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে । এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সকাল আটটায় বরুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা দঃ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক সাংসদ নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুলের পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীগন কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি সহকারে বরুড়া বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে বরুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । এছাড়াও বরুড়া উপজেলা জাতীয় পার্টি, বরুড়া উপজেলা প্রেসক্লাব, বরুড়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বরুড়া ডিপ্লোমা মেডিকেল এন্ড পল্লী চিকিৎসক এসোসিয়েশন, ওরাই আপনজন সামাজিক সংগঠন, কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান বরুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যে কোনো জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।
১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসক গোষ্ঠীর চোখ-রাঙানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সরকারি ছুটি। এদিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেয়ালিকা, শুদ্ধ বর্ণমালা লেখা ও ভাষার গানের আয়োজন করেন।σ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ জসীম উদ্দীন খোকন
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২৮/বি টয়েনবি সার্কুলারর রোড, মতিঝিল বা/এ ,ঢাকা -১০০০
মোবাইল: ০১৭১১৭৮৫৯৯৮, ০১৭৩৩৭০২৮৬৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত