1. aparadhsangbad@aparadhsangbad.com : অপরাধ সংবাদ : অপরাধ সংবাদ
  2. info@www.aparadhsangbad.com : অপরাধ সংবাদ :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কাজিপুরে আগুনে পুড়ে ছাগল ও হাস মুরগী- ঝলসে গেছে গৃহিনী কুমিল্লায় থানা পুলিশের সহায়তা না পেয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে ভুক্তভোগীর আত্মহত্যা পিটিয়ে হত্যার পরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বিজয়নগর উপজেলা প্রশাসনের বর্ষবরন বর্ণাঢ্য আয়োজনে কাজিপুর উপজেলা প্রশাসনের বাংলা ১৪৩২ নববর্ষ উদযাপন কাজিপুর থানা পুলিশের আইন শৃংখলা বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত। খাতুনে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার রেজাল্ট ঘোষণা বাংলাদেশী এক যুবক হত্যার অভিযোগ ভারতীয় বিএসএফ বিরুদ্ধে বিজয়নগরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত। বিজয়নগরে মাদক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ও রোজিনার খুটির জোর কোথায়

আজ ১লা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা’র প্রথম দিন নববর্ষ

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৮৩ বার পড়া হয়েছে

==মোঃ ইকরামুল হক,==
আজ  পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ, বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হয়েছে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ আর তাকে আনন্দ উৎসবে বরন করেছে বরুড়াবাসী। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। ১ বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপম-ুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা যোগায়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্য দিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ।

আজ পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারা বরুড়া উপজেলা । ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। সারা বরুড়া  জুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে । দিনটি সরকারি ছুটির দিন। উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের  ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত  হয়েছে । এদিন সকাল দশটায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে, সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা বেলা এগারটায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বর্ণাড্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর একটায় মধ্য বিরতি শুরু হয়ে বিকাল চারটায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে তা চলে রাত পর্যন্ত।

এদিন উপজেলা পরিষদের আয়োজনে  বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ন্যু এমং মারমা মংয়ের সভাপতিত্বে কর্মসুচীতে  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন   বরুড়ার কৃতি সন্তান সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনির উদ্দিন, যুগ্মসচিব মোঃ শাহ আলম , ঢাকা জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা জজ মোঃ  রহমত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ  জাকির হোসেন,  উপ-সচিব   নিলিমা আফরোজ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নাছরিন সুলতানা তনু,  বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওসমান গনী, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ০১(বরুড়া)  মোঃ জালাল উদ্দীন, অপরাধ সংবাদের সম্পাদক জসিম উদ্দিন খোকন,  দৈনিক সংবাদের বরুড়া প্রতিনিধি সলিল রঞ্জন বিশ্বাস , মোহাম্মদ মাসুদ মজুমদার,  বরুড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও দৈনিক রুপসী বাংলা বরুড়া প্রতিনিধি  মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক শিরোনামের বরুড়া প্রতিনিধি মোঃ ইকরামুল হক,   প্রচার সম্পাদক মোঃ শরীফ উদ্দীন, সদস্য মোঃ জহির হোসেন, বরুড়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর,  বরুড়া বাজার জুয়েলারি সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ,  বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেধাদ উদ্দিন, উপসহকারী মেডিকেল অফিসার এ টিম গোলাম কিবরিয়া,  সহকারী যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস মিয়া, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলী  সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনার শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাঁদের পুরনো হিসেব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসেবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তাঁরা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়। আমাদের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। যা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© 𝐰𝐰𝐰.𝐚𝐩𝐚𝐫𝐚𝐝𝐡𝐬𝐚𝐧𝐠𝐛𝐚𝐝.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট