বরুড়ায় স্ত্রীকে তালাক স্বামীসহ সাত জনের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা
প্রকাশিত:
বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
৩৬১
বার পড়া হয়েছে
″লিটন মজুমদার (রিপোর্টার) কুমিল্লাঃ- কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের ডেউয়াতলী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল নং ২ কুমিল্লার আদালতে গত ১৮/০৩/২০২৪ ইং তারিখ স্মারক নং: ৩৯৪, বাদীর স্বামী মোসলেম মিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেন। যাহার সি.পি নং: ১৯৬/২৪। আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগ এর সূত্র ধরে সরেজমিন অনুসদ্ধান কালে জানা যায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার, নবাবপুর বরকডরই গ্রামের মুসা মিয়ার কন্যা জেসমিন আক্তার এর সাথে বিগত ১৫ বছর পূর্বে বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের ডেউয়াতলী গ্রামের অলি উল্ল্যাহ মোল্লার বড় ছেলে মোসলেম মিয়া সহিত ইসলামিক শারিফত মোতাবেক বিবাহ হয়। তাহাদের সংসার জীবনে একমাত্র ছেলে আবু রায়হান (১২) ও ফারহানা আক্তার (১১) কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর তাহাদের মধ্যে বিভিন্ন ঝগড়া বিবাদ প্রায় লেগে থাকত বলে এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গগণ জানায়। অনুসন্ধান কালে জানা যায় বিগত ১৩/০৩/২০২৪ ইং তারিখে বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের ডেউয়াতলী গ্রামের অলি উল্ল্যাহ মোল্লা এর বড় ছেলে মোসলেম মিয়া। কুমিল্লা দ: চর্থা থিরাপুকুরপাড় জামে মসজিদের কাজী ও খতিব আব্দুর রবের মাধ্যমে জেসমিন আক্তারকে তালাক প্রদান করেন। একই মামলার ২নং আসামি এই বিষয়ে মো: মহসিন মিয়া জানান আমি পড়ালেখা করি। তাই আমার বাড়িতে আসা যাওয়া কম হয় কিছুদিন পূর্বে আমার পাশের বাড়ি থেকে মোবাইলে ফোন করে আমাদের বাড়ির ঝগড়ার বিষয়ে জানালে আমি বাড়িতে আসি এবং আমার বড় ভাই মোসলেম মিয়াকে আমার ভাবী জেসমিন আক্তার মারধর করেছে দেখতে পাই। আমি আমার ভাইকে চিকিৎসা করার জন্য কুমিল্লা নিয়ে যাই এবং তালাকের বিষয়ে শুনেছি। তালাক এর বিষয়ে সত্যতা জানার জন্য জেসমিন আক্তার এর মুঠোফোনে ০১৮৮৪….৪২৪ নাম্বারে কল দেই কিন্তু জেসমিন আক্তার ফোন রিসিভ না করে কন্যা সন্তান কে দিয়ে কল রিসিভ করিয়ে আম্মু বাসায় নেই বলে। তালাকের পর উভয় তালাকের বিষয়ে কোন সমাধান ব্যতীত একই বাসায় বসবাস করে তাহা জানার জন্য একই সময়ে মোসলেম মিয়ার মুঠোফোন ০১৭৭০…৪০৮ নাম্বারে কল দিলে কন্যা সন্তান ফারাহানা আক্তার কল রিসিভ করে আব্বু বাসায় নেই বলে বলে। প্রতিবেদক পরবর্তীতে বার বার মুঠোফোনে কল দিয়ে ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করে তালাকের বিষয়ে সত্যতা জানতে চেস্টা করে। কিন্তু তারা কৌশলে প্রতিবেদকের এই তথ্য না দেওয়ার জন্য অজ্ঞাত জায়গায় বসবাস করার কারণে যোগাযোগ করার সম্ভব হয়নি। অভিযোগকারী জেসমিন আক্তার ও ১নং আসামি মুসলিম মিয়ার সহিত যোগাযোগের জন্য বারবার চেষ্টা করে। সকল তথ্য প্রমাণ প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষণ
Leave a Reply