ডেক্স রিপোর্ট :- আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য জানান।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির এ সভা (একনেক) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১ হাজার ২২২ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রাজনৈতিক দলিল। তাই নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করা আমাদের ঠিক হবে না। রাজনৈতিক সরকার এলে তারা করবে। আমরা করবো না। অর্থমন্ত্রণালয় যে বাজেট প্রণয়ণ করে পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনায় তার প্রতিফলন ঘটে না। কবে উন্নত দেশ হবো, কবে মাথাপিছু আয় কতো হবে, এ পরিকল্পনা আমরা করবো না। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং এসডিজি বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যে কোন সরকার উন্নয়নের নতুন ধারার কথা বলে। আমরা রাজনৈতিক সরকার না। দেশের অবকাঠামোর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সেদিকে নজর না দিয়ে মানবসম্পদ অর্থাৎ শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। পাইপলাইনে প্রচুর অর্থ পড়ে আছে। তা কাজে লাগানো হবে।
বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট চলমান প্রকল্পগুলোতে অতো বেশি সময় দেওয়া হবে না। আমাদের কাছে আসলে পাশ করে দিব। মন্ত্রণালয় পরিমার্জন করে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে। আমাদের দেশে যথেষ্ট গ্যাস আছে। তারপরও কেন এলএনজি আমদানি করা হয় এটা আমার বুঝে আসে না। এলএনজি আমদানির বদলে দেশীয় কূপ বেশি খনন করে দেশীয় রিসোর্স কাজে লাগাতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রকল্প গ্রহণ খারাপ না। রাজনীতিবিদরা তা করবে। কিন্তু অপরাজনৈতিক বা বিশেষ বিবেচনায় যে সব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা বাদ দেওয়া হবে। আমরা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমাতে চাচ্ছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে অর্থের অপচয় ও দুর্নীতি যাতে না হয়। এ জন্য গাছ কাটা হবে এমন প্রকল্প নেওয়া হবে না। ভূমি অধিগ্রহণে অর্থের অপচয় হয় তা রোধ করা হচ্ছে। এ জন্য ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প পাশ করা হয়নি। আবার সড়কের মাঝখান দিয়ে বাস র্যাপিড ট্রানজেটের (বিআরটি) মতো প্রকল্পও নেওয়া হবে না।ছবি :- সংগৃহীত
Leave a Reply