চট্টগ্রাম বন্দরের আয়ের ১ শতাংশ ‘নগর উন্নয়ন মাশুল’ হিসেবে দেওয়া হলে শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন যেসব রাস্তা বানায় তা বন্দরের পণ্য পরিবহনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। বন্দরের ভারী গাড়িতে এ সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সড়কগুলো মেরামত করতে চসিকের রাজস্ব আয়ের বড় অংশ চলে যায়। বন্দরকে সচল রাখতে ভালো সড়ক নির্মাণে চসিকের অনেক অর্থের প্রয়োজন। বন্দর যদি আয়ের ১ শতাংশ চসিককে দেয় তাহলে চসিক অবকাঠামো খাতে আরো ভূমিকা রাখতে পারবে; যা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের রাজস্ব আয়ে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষা–স্বাস্থ্যসহ চসিকের যে ব্যাপক কার্যক্রম তা কেবল হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অল্প কিছু খাতের আয় দিয়ে করা সম্ভব নয়। এজন্য বন্দরসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। গত মঙ্গলবার টাইগারপাস নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। নগর ও নগরবাসীর স্বার্থে ‘নগর উন্নয়ন মাশুল’ নির্ধারণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, পলিথিন কর্ণফুলী নদীর নাব্যতার জন্য বড় হুমকি। কর্ণফুলীকে বাঁচাতে চসিককে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী ও বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ জসীম উদ্দীন খোকন
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২৮/বি টয়েনবি সার্কুলারর রোড, মতিঝিল বা/এ ,ঢাকা -১০০০
মোবাইল: ০১৭১১৭৮৫৯৯৮, ০১৭৩৩৭০২৮৬৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত