আববদুল্লাহ আল হ্নদয়ঃ-
ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামোড়া গ্রামের মুন্না নামের এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে।
৮ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখ মঙ্গলবার বিকেলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মুরাদ হোসেন মুন্নার পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেনি। তাই এ বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি মকুন্দুপুর বিজিবি থেকে।
নিহত মুন্না বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামোড়া এলাকার মৃত হাজী ফজলুর রহমানের ছেলে।
নিহত মুন্নার ভাগিনা মো. বাপ্পি সরকার বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে মুন্না মামা কৃষিজমিতে কাজ করছিলেন। তখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সীমান্তের পিলার দেখতে এসে মামাকে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ কথোপকথনের পর মামাকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায় পরবর্তীতে মাগরিবের আগমুহূর্তে মামার সারা শরীর ও মাথায় মারধর করে কাটা তারের বাইরে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে ফেলে রেখে যায়। সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সেজা মুড়া গ্রামের রুমান বলেন, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পিলার নম্বর ২০০৮ এর s৬ থেকে s৭ পিলারের কাছে বিএসএফ ডেকে নিয়ে মুন্নাকে মারধর করে অবচেতন করে সীমান্তে ফেলে গেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে বাড়ি নিয়ে আসার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, মকুন্দুপুর বিজিবি ক্যাম্পে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।মৃত্যু মুন্নার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
Leave a Reply