মোঃ ইকরামুল হক
———————–
চলছে মহিমান্বিত রমজান মাস। এরই মধ্যে চৈত্রের তাপদাহে বিপর্যস্থ জনজীবন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট। সেহরি, ইফতার এমনকি তারাবির নামাজের সময়ও থাকে না বিদ্যুৎ। রাতের পাশাপাশি দিনের বেশিরভাগ অংশ থাকতে হচ্ছে বিদ্যুৎবিহীন। পুরো বরুড়াজুড়ে এমন চিত্র। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন না বাড়লে এ সমস্যার সমাধান হবে না।
বেশ কয়েকদিন তীব্র তাপদাহ চলছে। এরইমধ্যে যুক্ত হয়েছে বরুড়ার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে। স্থানীয় জানিয়েছেন, দিনে তো বিদ্যুৎ থাকেই না। রাতেও যায় আসে অবস্থা। কী ইফতার, তারাবি আর সেহরি! সব সময় চলে যায় বিদ্যুৎ। স্বাভাবিক জীবনযাপন কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বরুড়ার বাজারের লাইন ছাড়া বাকি সঞ্চালন লাইনগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।
শাকপুর ইউনিয়নের গোল্ডেন উয়িং রেস্তোরাঁর পরিচালক মোঃ বাবুল হোসেন জানান, দিনের ১৬ ঘন্টার কিছু বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকে না, বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে বলে আমরা যোগান যা পাই, তা আপনাদেরকে বন্টন করি মাত্র। তিনি বলেন, আমাদের এমপি এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম দেশের বিদ্যুৎ সেক্টরের অত্যতম তারকা ব্যবসায়ী। উনি নিজের এলাকার জন্য যদি জাতীয় গ্রিড থেকে একটু বাড়তি বিদ্যুৎতের ব্যাবস্থা করে দেন, তাহলে এই কঠিন সময়ে বরুড়ার সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপকার হবে।
ভবানীপুর ইউনিয়নের ভৈষখলা এলাকার মাওলানা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, অব্যবস্থাপনার আরেক নাম বরুড়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। গ্রামের মানুষ চরম বৈদ্যুতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে। দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ ছাড়াও উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকাতেই বিদ্যুৎতের সংকটে সকল কিছু স্থবির হয়ে পড়েছে, অতিরিক্ত গরমে মানুষ নানান সমস্যায় পড়ছেন। শিশুরাও নানা রোগাক্রান্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (বরুড়া) এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) বলেন, জাতীয় গ্রিডে উৎপাদন না বাড়লে এই সমস্যার সমাধানের সুযোগ নেই। বরুড়া উপজেলায় প্রতিদিন ৩০/৩১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু এর বিপরীতে বরুড়া অফিস বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাচ্ছে ১৪/১৫ মেগাওয়াট। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়ার কারণেই এই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
Leave a Reply